চলতি বছরের আগামী জুনে পদ্মা সেতু খুললেও ভা’রী যান চলাচলে থাকতে পারে সতর্কতা। সেই সঙ্গে যানবাহনের গতিও নিয়ন্ত্রণ হতে পারে। কারণ বেশি গতির কারণে সেতুতে যে কম্পন হবে তাতে নিচের অংশে রেল লাইনে কংক্রিট ঢালাইয়ে সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেতু প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কংক্রিট ঢালাইয়ের সময় রেল কর্তৃপক্ষের চাহিদা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে পদ্মা সেতু খুলতে বাকি আর মাত্র একমাস। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা। প্রায় সোয়া ৬ কিলোমিটারের এই সেতুর ওপরের অংশে যানবাহন আর নিচে চলবে ট্রেন। যান চলাচলের প্রস্তুতি শেষদিকে হলেও এখনো বাকি রেলের কাজ। গ্যাস পাইপ লাইন, ওয়াকওয়েসহ বাকি কাজ শেষে জুনে সেতুর নিচের অংশ রেলের কাছে হস্তান্তর করবে সেতু বিভাগ। তবে উদ্বোধনের পর যানবাহন চলাচলে যে কম্পন সৃষ্টি হবে তাতে রেলের কাজে সমস্যা হতে পারে। তাতে রেল লাইনের কংক্রিট ঢালাইয়ে ফাটলের শ’ঙ্কাও রয়েছে।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের পরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, আমরা বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলেছি। তারা জানান, এ ধরনের সেতুর কাজ অর্থাত দুইটি দুই সময়ে চালু করা এটা পৃথিবীতে আর হয়নি। আমাদের পর্যবেক্ষণ করতে হবে কি ধরনের কম্পন হচ্ছে যান চলাচলে। এতে কংক্রিটে বসাতে কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা সেটি পর্যবেক্ষণ করতে হবে। যদি হয় তাহলে স্পীড লিমিট বা হেভি ট্রাক চলাচল বন্ধ করতে পারি।

এদিকে সেতু কর্তৃপক্ষ বলছে, যান চলাচল পর্যবেক্ষণ করে কত কম্পনে রেল লাইনের কাজ করা যাবে তা নির্ধারণ করবে রেল কর্তৃপক্ষ। তথ্য-উপাত্তসহ যে সুপারিশ তারা করবে সে অনুযায়ীই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ই’স’লা’ম বলেন, এটা টেকনিক্যাল বা ইঞ্জিনিয়ারিং জিনিস কম্পনের কি মাত্রা হলে ঢালাই করা যাবে কি যাবে না। এই কম্পনের মাত্রা কতটুকু সেটা নির্ধারণ করবে তারা। সহনীয় না হলে তারা সেটা আমাদের জানাবেন। তথ্য উপাত্ত এনে যদি তারা বলে যে এটা করা যাবে বা যাবে না, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। কারণ সেতুর জন্য ট্রেন গুরুত্বপূর্ণ। রেলের অংশে কাজ শুরুর পর অন্তত ছয় মাস লাগবে লাইন বসাতে। সে হিসেবে ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুতে ট্রেন চলাচল শুরু করা যাবে বলে আশা কর্তৃপক্ষের।